কেষ্টপুরে জমজমাট মাছের মেলা , উপচে পড়া ভীড়

16th January 2020 হুগলী
কেষ্টপুরে জমজমাট মাছের মেলা , উপচে পড়া ভীড়


হুগলীর কেষ্টপুরের বিখ‍্যাত মাছের মেলা। কী নেই! চুনোপুটি থেকে শুরু করে রুই,কাতলা,গলদা চিংড়ি,পাবদা,ইলিশ,ভেটকী। শঙ্কর মাছ সহ সব ধরনের সামুদ্রিক মাছের দেখা মেলে দেবানন্দপুর পঞ্চায়েতের কেষ্টপুরে হওয়া পয়লা মাঘের এই মাছের মেলায়। কেষ্টপুরের রাধাকৃষ্ণ মন্দির সংলগ্ন এলাকায় প্রতিবছর এই দিনে বসে মাছের মেলা। প্রায় ৫১৩ বছরের পুরোন এই মেলায় বিভিন্ন স্বাদের নানা আকারের মাছ কিনতে ভীড় জমান দুরদুরান্তের মানুষ। শুধু মাছ কেনাই নয় মাছ কিনে পাশের বাগানে চড়ুইভাতির আয়োজন করেন অনেকে। আসেন পাশ্ববর্তী বিভিন্ন জেলার বহু মানুষ। মেলার পাশাপাশি রঘুনাথ দাস গোস্বামী মন্দিরে আজও ধুমধাম করে রাধাকৃষ্ণের পূজো হয়। মন্দিরের পুরোন ইতিহাস থেকে জানা যায়, সংসার ছেড়ে সন্নাসী হওয়া জমিদারের ছেলে রঘুনাথ দাস গোস্বামী দীর্ঘ নয় মাস পরে বাড়ী ফিরলে তার ফিরে আসার খুসিতেই এই মেলা। মাছের মেলায় ৩০০ টাকা থেকে সুরু করে রয়েছে ১০ হাজার টাকার মাছ। বহু মানুষ পয়লা মাঘ আজকের দিনে হাজির হন কেষ্টপুরের মাছের মেলায়।





Others News

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে


সুজিত গৌড় ( হুগলী ) :  নিম্ন চাপের জেরে শনিবার থেকে অকাল বৃষ্টিতে মাথায় হাত চাষীদের।
জেলায় আলু চাষে ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়ে যাবে কয়েক লক্ষ টাকার উপর বলে দাবি চাষীদের। ধান জমিতে যেমন ক্ষতির পাশাপাশি হুগলী জেলা জুড়ে ব্যাপক ক্ষতি এবার আলু চাষে। চলতি বছরে বার বার নিম্নচাপ  চাপের জেরে যেভাবে ধান চাষ পিছিয়ে ছিল ঠিক আলু চাষও পিছিয়ে ছিল প্রায় পনোর দিন। তবে গত শুক্রবার পযন্ত হুগলী জেলায় প্রায় ৩০ শতাংশ জমিতে বসানো হয়ে গিয়েছিল আলু এবং ৬০ শতাংশ জমি আলু চাষ উপযোগী করে তুলে ছিলেন চাষীরা। ধান চাষের মত আলু চাষের শুরুতে এবার কাল হয়ে উঠলো অকাল বৃষ্টি। অকাল বৃষ্টির ফলে যে সব জমিতে ইতি মধ্যেই আলু বসানো হয়ে গিয়েছিল, সেই সব জমিতে জল জমে থৈ থৈ করছে। ফলে জমিতে বসানো সমস্ত আলু বীজ পচে নষ্ট হতে বসেছে।  কারণ আলু বসানোর পর অন্তত পনেরো থেকে কুড়ি দিন কোনো জলের প্রয়োজন পরে না আলু চাষের ক্ষত্রে।
এ বছর এক বিঘা জমিতে চাষ উপযোগী করে আলু বসানো পযন্ত চাষীদের খরচ পড়েছে প্রায় পনেরো হাজার টাকা অন্যদিকে আলু বসানোর আগে পর্যন্ত  এক বিঘা জমিকে  চাষ উপযোগী করে তুলতে খরচ পড়েছে প্রায় সাত হাজার টাকা। অর্থাৎ ইতি মধ্যে নিম্ন চাপের জেরে অকাল বর্ষণে হুগলী জেলার ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়েছে লক্ষ  লক্ষ টাকার উপর। জেলায় আলু চাষের জমির পরিমান ৯০ হাজার হেক্টর জমি। সেমবার সকাল থেকেই  আলু জমি থেকে জল বের করে আলু বীজ বাঁচানোর মরিয়া চেষ্টা করছেন চাষীরা। চাষীদের দাবি অকাল বর্ষণে একেবারে সর্বস্বান্ত  হয়ে পড়েছে। আবার নতুন করে আলু বসানো বা জমি তৈরি করে আবার আলু বসানো অনেকের পক্ষেই আর সম্ভব হবে না।
অন্যদিকে আবহাওয়া উপযোগী হলে পুনরায় জমি আলু চাষের উপযোগী করে আলু বসাতে সময় লাগতে পারে পনেরো থেকে কুড়ি দিন। ফলে আলু চাষে ফলন যেমন কমবে খাবার আলুর জোগানেও পড়বে টান। আগামী দিনে ধানের ক্ষতির ফলে যেমন  চালের যোগান টান পড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।  ঠিক তেমনি আগামী দিনে খাবার আলুর জোগানেও টান পড়বে বলে মত চাষীদের।